ছবি: সংগৃহীত
আধ্যাত্মিকতা এবং বিজ্ঞানের মধ্যে সবসময়ই একটি দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। প্রাচীনকালের কিছু নিয়ম চলে আসছে আজও যার পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত কিছু কারণ।
শঙ্খ বাজানো : হিন্দু রীতি অনুযায়ী, রোজ সকাল-সন্ধ্যা এবং বাড়িতে পুজো হলে শঙ্খ বাজানো শুভ মনে হয়। যার কারণে বাড়িতে এবং মন্দিরে শঙ্খ বাজানো হয়। এর পেছনে রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা । বিজ্ঞানীদের মতে, শঙ্খ বাজানোর ফলে আমাদের ফুসফুস মজবুত হয় এবং শ্বাসজনিত রোগব্যাধি কম হয়।
বৈজ্ঞানিকরা এটাও বলেছেন যে শঙ্খের আওয়াজ যতদূর পর্যন্ত যায় ততদূর পর্যন্ত রোগজীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও শঙ্খের ভেতর জলও রাখা হয় এবং পুজোর সময় সমস্ত ভক্তের উদ্দেশ্যে সেই জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়।
তার কারণ, শঙ্খের ভেতর ফসফরাস গন্ধক এবং ক্যালসিয়াম থাকে। এই সবগুলির গুণাবলী তখন ওই জলের মধ্যে চলে যায়। এই জল পান করলে অথবা ছিটিয়ে দিলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
ঘণ্টা বাজানো- পুজো করার সময় ঘণ্টা বাজানো অনিবার্য। এই ঘণ্টা বাজানোর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ হলো, যখন ঘণ্টা বাজানো হয় তখন একটি কম্পন উৎপন্ন হয় যেটি অনেক দূর পর্যন্ত যায় এবং সেই জায়গায় সমস্ত জীবাণু নষ্ট হয়ে যায় এবং পরিবেশ শুদ্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া ঘণ্টাধ্বনি শুনে মনে এক প্রকার ভক্তিভাব জাগ্রত হয়। বাস্তু শাস্ত্র অনুসারেও ঘরে ঘণ্টার উপস্থিতি পবিত্র বলে মানা হয়। মনে করা হয়, যে ঘরে ঘণ্টা বর্তমান সেই ঘরে কখনও দুষ্ট আত্মা এবং নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না।
এই কারণে অনেকে তাদের ঘরের দরজা ও জানালায় ছোট ছোট ঘণ্টা লাগায়, যাতে করে সেই ঘণ্টার আওয়াজ সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে এবং কোনও নেগেটিভ শক্তি সেই বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে না।
আরো পড়ুন: অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে রান্না করা কি নিরাপদ
প্রদীপ জ্বালানো : প্রদীপ জ্বালানোর মাধ্যমে ঘি-কে বায়ুতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যাতে করে সেখানে এবং তার আশেপাশের জায়গা অশুদ্ধি মুক্তি হয়।
কর্পূর জ্বালানো : কর্পূর জ্বালালে বায়ুমণ্ডল শুদ্ধ হয়। এছাড়াও ঘাড়ে ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, প্রভৃতি রোগব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
এসি/ আই. কে. জে/